|| নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর পত্রিকা ||
বিশ্বব্যাপী চলমান কোভিড মহামারী যেখানে আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেকটাই বদলে দিয়েছে, সেখানে পরিবর্তিত পৃথিবীতে স্বাভাবিক জীবনের অনেক উপাদান অনুপস্থিত। মানুষ অনেকটাই মানসিকভাবে বিষাদগ্রস্ত হয়ে গেছে চিরচেনা জীবন থেকে দূরে থাকার কারণে।
করোনার এ বিষাদকালীন সময়েও নিজেদের শৈল্পিক স্বত্তাকে জাগিয়ে তোলার মাধ্যমে আমরা কিছু সময় আনন্দের মধ্য দিয়ে কাটাতে পারি। অতীতের ব্যস্ত সময়ে আমাদের হয়তো নিজেদের প্রিয় কাজে যথেষ্ট সময় দেয়াটা হয়ে উঠছিল না। করোনাকালীন এই বন্দী সময়ের কোনো ভালো দিক যদি বলতে হয় তবে তার মধ্যে অবশ্যই থাকবে আমাদের নিজেদের শিল্পস্বত্তাকে, নিজেদের পছন্দের কাজে সময় দিতে পারার অফুরান আনন্দ । এই আনন্দকে আরো অনুপ্রাণিত করার জন্যেই মূলত চট্টগ্রাম তথা সারাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্কুল চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রামের স্কুলপর্যায়ের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন “কলেজিয়েটস কালচারাল ক্লাব” একটি আয়োজনের উদ্যোগ নেয়। তারা আয়োজন করে মাসব্যাপী “কালচারাল রিভিলেশন” এর, যেখানে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা তাদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম তুলে ধরবে। এই আয়োজনে তাদের সহযোগী হিসেবে পাশে থেকেছে “YOUTH 360” সংস্থা।
মোট ৭টি বিষয় নিয়ে তারা এই আয়োজনের সূচনা করে:
- চারুকলা
- ফটোগ্রাফি
- সংগীত
- সাহিত্য
- নৃত্যকলা
- আবৃত্তি
- ভিডিওগ্রাফি।
এ ব্যাপারে কলেজিয়েটস কালচারাল ক্লাবের দায়িত্বশীল কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, “বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীল কাজগুলো এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তুলে ধরতে পেরেছে যা কলেজিয়েটস কালচারাল ক্লাবের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী হতেই আমরা সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ দেখতে পেয়েছি। চারুকলা এবং ফটোগ্রাফিতে আমরা বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি। কলেজিয়েটস কালচারাল ক্লাবের একটি স্বপ্ন আমাদের প্রাণপ্রিয় চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে জাতীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের। আমরা ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে আন্তঃস্কুল সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করেছিলাম, যেখানে বিদ্যালয়ের কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরা আমাদের এই আয়োজনে তাদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। তখন থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল ২০২০ এর শেষ দিকে একটি জাতীয় উৎসব আয়োজনের। কিন্তু সংগত কারণেই বর্তমান বর্ষে এ আয়োজন সম্ভবপর হয়ে উঠছে না। তবে ভবিষ্যতে অবশ্যই এরকম আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা একই প্ল্যাটফর্মে তাদের সৃজনশীল কর্ম ও চিন্তাধারার বিচ্ছুরণ ঘটাবে।“
তারা আরো বলেন, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা শব্দটি ঠিক যায় না বলেই তাদের বিশ্বাস। তবুও আয়োজনের স্বার্থে প্রতিযোগিতা বিষয়ক বেশ কিছু নিয়মাবলী তাদের মেনে চলতে হয়। তবে প্রতিযোগিতাকে প্রধান করে তোলা নয়, বরং সংস্কৃতিচর্চার যে মুক্ত নির্মল আনন্দ, তা ছড়িয়ে দেওয়াই কলেজিয়েটস কালচারাল ক্লাবের চিরাচরিত উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম তথা সারা বাংলাদেশের স্কুলগুলোর মাঝে রোল মডেল হিসেবে থাকা চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের সৃজনশীল ক্ষেত্রকে এগিয়ে নেওয়ার যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে কলেজিয়েটস কালচারাল ক্লাবের কার্যক্রম, অসংখ্য সৃজনশীল শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা, সে লক্ষ্যে অদূর ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে কলেজিয়েটস কালচারাল ক্লাব সফল হবে।
It was really a very interesting and enjoyable moments
and I hope you guys will organize more So,best wishes
for all of you!!!!!☺☺☺☺